ছয়টি কবিতা / দয়াময় পোদ্দার
সবিনয়
উনুনে আগুন-পাতা নিভন্ত
আজ তুমি হলে, সব ভালো হত!
উনুনে আগুন-পাতা নিভন্ত
আজ তুমি হলে, সব ভালো হত!
জল তরঙ্গ
আকাশ ভেজা, অন্ধকার কালো
সিঁড়িতে এসে দাঁড়ালে তুমি আলো।
জাগরণ
দুটি চিল ফিরে গেছে – নিটোল বাসায়
তুমিও কি তবে মুখে শীত ক্রিম মেখে
তারাদের মতো নয় – জ্বলে ওঠা চাঁদ
সবার আগে আজ রাতে ঘুমিয়ে গেলে?
জোছনায় শিশিরে গোলাপ কুঁড়ি ফোটে
আমতলী শুনশান, মিলন উতলা
কেউ বেহাগে বাঁশি বাজিয়ে যায়, আর
তুমি বিছানায় জেগে উঠেছো একলা...
উতল
কিছু মনে নেই, কবে যেন
গোধূলি রাখাল,
কমলা ঠোঁটে সব হারানো
শিশিরে কাঙাল
তৃষ্ণা, সেসব বিকেল খোঁজে
নদীর ডানায়
উতল-নিশ্বাসে গলা বোজে
ভাঁটার কানায়...
কিছু মনে নেই, কবে যেন
গোধূলি রাখাল,
কমলা ঠোঁটে সব হারানো
শিশিরে কাঙাল
তৃষ্ণা, সেসব বিকেল খোঁজে
নদীর ডানায়
উতল-নিশ্বাসে গলা বোজে
ভাঁটার কানায়...
২১শে জুন, ২০১১
সাঁঝবাতি নিভে গেল। যত শূন্য জাগে,
কাশফুলের ভার কে দেবে আর কাকে!
দাঁড়কাক
মৃতভুক আলোচিহ্ন খুঁজে
দাঁড়কাক লুকিয়ে রেখেছে
ঠোঁটের খাবার চোখ বুজে...
কোন মন্তব্য নেই