তিনটি কবিতা / শ্যামাশীষ জানা
ভাসান
তোমার
কথা বলতে গেলে
এখন একটুও কাঁপেনা চোখের পাতা
তবে সেইসব অস্থির কম্পন, মৃদু ভেসে যাওয়া
সব মিথ্যে ছিল নাকি?
শেষনাগের মাথার উপরে বসে আছি দুজন
সে মাথা দোলালেই
আমাদের সমগ্র কেঁপে ওঠে
পরস্পরকে ভীষণ আঁকড়ে ধরি
নীচে টগবগ ফুটছে লাভা
তারও নীচে স্থির অন্ধকার অতল মহাশূন্য,
ভাসানের ডাক পাই সারাটা রাত ধরে
আর একটি বার তোমায় দেখার জন্য।
আশ্রয়
ঠোঁটে ঠোঁটে তুলে নাও এইসব ঝরে পড়া ডাল
খুলে নাও একে একে সব বর্ম অস্ত্র বাকল ছাল
আমার শরীর জুড়ে বাঁধো বাসা।
কোঠরে কোঠরে খুঁজে
পেতেও পারো কিছু ভালবাসা
অসাড়তা যতখানি জুড়ে
থাকে এক প্রেম থেকে অন্য এক প্রেমে
ভেতরের ক্ষত ছড়িয়ে পড়ে এক চোখ থেকে অন্য এক চোখে
আজ মুহূর্তের গভীরে
শুধু শব্দহীনতারা দৃশ্য হয়ে নামে।
নৌকাজীবন
তোমার নদীতে নৌকো হয়ে ভাসলে
নিজেকে মনে হয়
যেন শতাব্দী প্রাচীন এক মরাল
যে পাড়ি দিচ্ছে কোনো শান্ত চরাচরে,
আঙ্গুলে জল স্পর্শ করলে-
মনের মেঘগুলো আস্তে আস্তে সরে যায়।
অলঙ্করণ-
সঞ্জীব
কোন মন্তব্য নেই