দু’টি কবিতা / অর্ঘ্য দে
নিভে যেতে কার ভাল লাগে
আমাকে ঘিরে বৃষ্টির মেহফিল
দমকা হাওয়ায় মশগুল বারান্দা
নেচে ওঠে।
কে যেন সাজিয়ে রেখেছে
প্যায়মানা - শ্লেষে নীল,
অন্ধকার ভেঙে
মসিদেউটি ভেসে যায়
কবেই তো হেরে গেছি !
আর্দ্র শরীর তবু দাহ্যতা দাবি করে,
এক ফুঁয়ে অন্ধকার করে দিও
ফি-রোজ নিভে যেতে
কার আর ভালো লাগে!
আমাকে ঘিরে বৃষ্টির মেহফিল
দমকা হাওয়ায় মশগুল বারান্দা
নেচে ওঠে।
কে যেন সাজিয়ে রেখেছে
প্যায়মানা - শ্লেষে নীল,
অন্ধকার ভেঙে
মসিদেউটি ভেসে যায়
কবেই তো হেরে গেছি !
আর্দ্র শরীর তবু দাহ্যতা দাবি করে,
এক ফুঁয়ে অন্ধকার করে দিও
ফি-রোজ নিভে যেতে
কার আর ভালো লাগে!
হিম-কান্নার উপত্যকা
ভিজে গেছে দেবদারু,পাইনের সারি
দু'চোখের হিম-কান্নায়,
মুখ ফিরিয়েছে খরস্রোতা -
এক স্রোতজন্ম ধরে শিলায় মাথা ঠুকে
খোদাই করে গেছে অভিমান জলনকশায়
বড় বিষণ্ণ এ উপত্যকা।
মৃত্যুর মতো সাদা !
শেষ নিশ্বাসের মতো নূপুর ধ্বনি,
খুঁজে পাবে জীবাশ্ম: মোনালের কাকলি
মেষপালকদের অলস বিচরণ।
সীমান্তে তখনও হয়তো ঠান্ডা লড়াই,
বারুদের গন্ধ মেখে আপেল গাছ - নিঝুম !
রক্তের ছিটে তার পাতায় পাতায়
সেও হিম-কান্নার প্রত্যাশী।
কোন মন্তব্য নেই