আয়নায় / সবর্না চ্যাটার্জ্জী
১
বৃষ্টি ছড়ানো রাজপথ ছেড়ে
ক্রমশ আয়নায়, নিজেকে বড়ই কাছের মনে হয়
আজকাল অলস বিকেলে কিছু ট্রাম ছোটে মনের ট্রামলাইনে
অধরা আলোর মত কিছু মানুষ,
ডেকেই চলেছে বিগত দুমাস যাবত
আয়না কখনও বলেনি, আমি মানুষ
তবুও ভাবতে ভালোবাসি
এই যেমন, কিছু পড়ে থাকা কাটা ঘুড়ি,
তোমার মতই মৃত যদিও এখন!
আত্মহত্যা করেছিল সেই ট্রামলাইনের ধারে,
আর আমি ভেবেছি, শিউলি ছড়ানো আছে বারোয়ারি তলায়
ক্রমশ বৃষ্টি ভেজা বিকেলগুলো দূর হতে হতে আয়নায় দেখি,
লেগে আছে আমারই চোখেরজল।
তবু স্বীকার করতে কষ্ট হয়,
এ চোখ আমার। শুধুই আমার, আমার আর আমার।
আজকাল এমন বিছিয়ে আছি ভাবনায়,
নিজেকে ভীষণই আপন মনে হয়।
তুমি ডাক দিয়ে যাও বিগত দুটোমাস যাবত
আর আমি ভাবছি,...সেই চেনা চেনা ভবিষ্যৎ।
বৃষ্টি ছড়ানো রাজপথ ছেড়ে
ক্রমশ আয়নায়, নিজেকে বড়ই কাছের মনে হয়
আজকাল অলস বিকেলে কিছু ট্রাম ছোটে মনের ট্রামলাইনে
অধরা আলোর মত কিছু মানুষ,
ডেকেই চলেছে বিগত দুমাস যাবত
আয়না কখনও বলেনি, আমি মানুষ
তবুও ভাবতে ভালোবাসি
এই যেমন, কিছু পড়ে থাকা কাটা ঘুড়ি,
তোমার মতই মৃত যদিও এখন!
আত্মহত্যা করেছিল সেই ট্রামলাইনের ধারে,
আর আমি ভেবেছি, শিউলি ছড়ানো আছে বারোয়ারি তলায়
ক্রমশ বৃষ্টি ভেজা বিকেলগুলো দূর হতে হতে আয়নায় দেখি,
লেগে আছে আমারই চোখেরজল।
তবু স্বীকার করতে কষ্ট হয়,
এ চোখ আমার। শুধুই আমার, আমার আর আমার।
আজকাল এমন বিছিয়ে আছি ভাবনায়,
নিজেকে ভীষণই আপন মনে হয়।
তুমি ডাক দিয়ে যাও বিগত দুটোমাস যাবত
আর আমি ভাবছি,...সেই চেনা চেনা ভবিষ্যৎ।
২
ফ্লুরোসেন্ট আলো লেগে আছে ধুলোগাছটার প্রতিটা পাতায়। শিরা উপশিরা দিয়ে বয়ে যাচ্ছে বৃষ্টির মত ধোঁয়া। গাছটা রাস্তার। আমরা এদের ফুল দেখি না। যেমন বেশ্যাগলিতে ফোটা লালটুকটুকে
ঠোঁট। দেখিনি কখনও কোন মুখ, ছোট্ট তিল ছোঁয়া দুরন্ত চিবুক। শুধু জানি দুটো নিটোল স্তনের ভাঁজে চকচক করে সুপটু জিভ, শরীরের অন্ধকার খোঁজে সঙ্গমসুখ। যে সুখ নিয়ে বেড়াচ্ছি আদিম কাল থেকে। যবে থেকে সৃষ্টি হয়েছি, আমিও মানুষ হতে শিখেছি স্বার্থ খুঁজেই। সুখের খোঁজে বোঝা বেড়ে যায়, দুঃখের। পুণ্যের লোভে হাত ভরে ওঠে পাপে। আমিও অতি সাধারণ এক স্বার্থপর ফসল। সুখ সুখ করে অসুখ বাঁধিয়ে ফেলি। তারপর আসে মনঃচিকিৎসক। ততদিনে মনটাও জগদ্দলের মত টুটি টিপে ধরে। জিভ টেনে বের করে সূত্রইতিহাস। কে কেন কখন গেছিল কতদূর, ঠিকানা কোথায় তার? আমি খুঁজতে খুঁজতে গাছটাকে খুঁজে পাই। আমাকে থাকতে দেয় গাছ।ফ্লুরোসেন্ট আলো বয়ে যায় আমার শরীর ধরে, ধুলো মাখা হাতে ধোঁয়াবন্দী করি রোজ বৃষ্টি ভেবে। গাছটায় ফুল ধরে বেশ। পাতা হাসে কচি কচি। কিজানি কেন এতদিন চোখে ধরেনি কোনো জলজ্যান্ত কুঁড়ি? এখন আমিও হাসতে শিখেছি, এমন নির্মল বসন্ত দেখে।
অলঙ্করণ-সঞ্জীব
কোন মন্তব্য নেই