দুটি কবিতা / অনিকেশ দাশগুপ্ত
সদ্যজাত
না, ঠিক উড়ে যাওয়া নয় এই অপাপবিদ্ধ
প’ড়ে থাকা, এই ঝ’রে পড়া।
না, ঠিক উড়ে যাওয়া নয় এই অপাপবিদ্ধ
প’ড়ে থাকা, এই ঝ’রে পড়া।
পাতাদের নির্দিষ্ট অমরা আছে
সমস্ত নিপুণ হামাগুড়ি এখনো সঞ্চিত তার
আমি এর নাম দেই ‘নিঃসঙ্গ মেধাহীনতার আসন’।
শুনি সবুজে কোন দোটান নেই
উচ্চ-নীচের নাতিদীর্ঘ স্পর্শগুলোয় কেবল
স্নিগ্ধ চলাচল;
কোন সুদৃঢ় ঘাসের খেলায় একান্ত ফড়িং
ব’সে, নীল শিরায় জমাট খনিজ আর
চমত্কৃত নাড়ীর পুনরায় দুলে ওঠা -
এই চিত্রে এগিয়ে এসো খানিক,
দ্যাখো চুম্বনরত সাতটি তারা
জন্মের কত কাছাকাছি …
সমস্ত নিপুণ হামাগুড়ি এখনো সঞ্চিত তার
আমি এর নাম দেই ‘নিঃসঙ্গ মেধাহীনতার আসন’।
শুনি সবুজে কোন দোটান নেই
উচ্চ-নীচের নাতিদীর্ঘ স্পর্শগুলোয় কেবল
স্নিগ্ধ চলাচল;
কোন সুদৃঢ় ঘাসের খেলায় একান্ত ফড়িং
ব’সে, নীল শিরায় জমাট খনিজ আর
চমত্কৃত নাড়ীর পুনরায় দুলে ওঠা -
এই চিত্রে এগিয়ে এসো খানিক,
দ্যাখো চুম্বনরত সাতটি তারা
জন্মের কত কাছাকাছি …
পর্যায়বদ্ধ
ঘনিষ্ঠতা; অনবরত হর্ণ বাজিয়ে রাস্তায়
ঘনিষ্ঠতা; অনবরত হর্ণ বাজিয়ে রাস্তায়
কেউ ডাকছে, পৃথিবীর এই কোণটায়
যত আলো কাচ হার্দক্রিয়তা; মানুষের
আগাপাশতলা, মানুষই আঁকছে
ঈশ্বরকে রূপদান করতে
অসাড় আঙুলেরা
ঢুকে যাচ্ছে কাদামাটির দলায়…
মূককীট শুককীট তলপেটে বয়েল
হচ্ছে, ভাণ থেকে ক্রমশ গড়ে উঠছে
নিজস্ব, একটা নিজস্ব দেশ…
যত আলো কাচ হার্দক্রিয়তা; মানুষের
আগাপাশতলা, মানুষই আঁকছে
ঈশ্বরকে রূপদান করতে
অসাড় আঙুলেরা
ঢুকে যাচ্ছে কাদামাটির দলায়…
মূককীট শুককীট তলপেটে বয়েল
হচ্ছে, ভাণ থেকে ক্রমশ গড়ে উঠছে
নিজস্ব, একটা নিজস্ব দেশ…
অলঙ্করণ-সঞ্জীব
কোন মন্তব্য নেই