তিনটি কবিতা / বিদ্যুৎ রাজগুরু,অমিত পাল, অভিষেক ঘোষ
সময়ে
বিদ্যুৎ রাজগুরু
বিদ্যুৎ রাজগুরু
সময়কে ধরো তুমি
সময়ে সময়ে,
নিজেকে দেখো নিজের ছায়াতে।
চাঁদের আলোকে যদি ধরো মুঠো করে,,
তুমি শুধু এক মুঠো আঁধার পাবে
বরং জোনাকির আলো ধরলে মুঠোতে
সে তোমাকে মুঠো মুঠো আলো এনে দেবে।
পায়ের খড়ম খুলে তুমি নেমে এসো
চেনা মাটিতে ।
বন্ধ্যা জমির খনিজ ভেঙে দাও,
দাও -এক নদী জলের আহূতি
এক আকাশ আলোর লালনে
এই দুর্বহ সময়ে,
ফসলের ঘ্রাণ পাবে লকলকে ফলনে ....
পগারের ওপারে , তুমি থেকো
পাহারায়..
কর্কট সময়ে খুঁজে পাবো তোমাকে
শস্যের চেহারায়।
ফিরতে চেয়েছি ব’লে…
অমিত পাল
আরও একবার ফিরতে চেয়েছি ব’লে
তুমি কাছে ডেকে নিলে কই?
পথবাতিদের এই শহর
ঘুম ঘুম বেদনায় জাগা।
চুপ করে থাকা একটা দীর্ঘশ্বাস
ফেটে পড়তে পারে যখন তখন
এভাবেই তো এসেছিল স্তব্ধ প্রহর
অন্ধকার রাজপথ ধরে
কিছু ছিন্ন পলাশ বুকে নিয়ে
শুয়েছিল রাতের কুয়াশারা।
আরও একবার ফিরতে চেয়েছি ব’লে
চুরমার হয়ে যাচ্ছে নিরীহ সময়…
অমিত পাল
আরও একবার ফিরতে চেয়েছি ব’লে
তুমি কাছে ডেকে নিলে কই?
পথবাতিদের এই শহর
ঘুম ঘুম বেদনায় জাগা।
চুপ করে থাকা একটা দীর্ঘশ্বাস
ফেটে পড়তে পারে যখন তখন
এভাবেই তো এসেছিল স্তব্ধ প্রহর
অন্ধকার রাজপথ ধরে
কিছু ছিন্ন পলাশ বুকে নিয়ে
শুয়েছিল রাতের কুয়াশারা।
আরও একবার ফিরতে চেয়েছি ব’লে
চুরমার হয়ে যাচ্ছে নিরীহ সময়…
জোকার
অভিষেক ঘোষ
অভিষেক ঘোষ
নিশ্ছিদ্র আঁধারের শরীরে যৌনতার গন্ধ,
রক্তমাখা কিছু লাভহীন চিৎকার
বুমেরাং হয়ে ফিরে আসে।
নরাধম কাঁধে ফুটে আছে শজারুর কাঁটা
সেই কাঁটা থেকে মহুয়া ফুলের মতো ঝরে পড়ছে
হেমলক বিষ...
বুমেরাং হয়ে ফিরে আসে।
নরাধম কাঁধে ফুটে আছে শজারুর কাঁটা
সেই কাঁটা থেকে মহুয়া ফুলের মতো ঝরে পড়ছে
হেমলক বিষ...
একটা অস্থির ছবি তখনো মেঘ হয়ে ভেসে বেড়াচ্ছে
কিছু জোকারের ঘোলাটে দৃষ্টিতে।
কিছু জোকারের ঘোলাটে দৃষ্টিতে।
অলঙ্করণ-সঞ্জীব
কোন মন্তব্য নেই