তিনটি কবিতা / সুমন্ত চট্টোপাধ্যায়, অনিরুদ্ধ দাস, সুদীপ গুপ্ত
হালিশহরের নক্ষত্ররাত
সুমন্ত চট্টোপাধ্যায়
সুমন্ত চট্টোপাধ্যায়
কখনো রিনিঝিনি বাজতে থাকে
এ শহর তার ফেলে আসা প্রেম,
আর যেন কোনো কাঁপন নেই—
শুধুই ঠিকানাহীন—উদ্বাস্তু জীবনের মত
কিছু রঙ আর বিনোদন রেখে।
এ শহর তার ফেলে আসা প্রেম,
আর যেন কোনো কাঁপন নেই—
শুধুই ঠিকানাহীন—উদ্বাস্তু জীবনের মত
কিছু রঙ আর বিনোদন রেখে।
ভিজে অলিগলির শরীর যেমন,
ফেনা চোঁয়ানো স্মৃতিবিন্দুরা
বয়েই চলে মনের নয়নজুলিতে—
হাত বাড়ালেই মায়াবী আকাশ
আর আধসেঁকা রুটি—বুভুক্ষু চোখে।
ফেনা চোঁয়ানো স্মৃতিবিন্দুরা
বয়েই চলে মনের নয়নজুলিতে—
হাত বাড়ালেই মায়াবী আকাশ
আর আধসেঁকা রুটি—বুভুক্ষু চোখে।
অথচ কোথাও এসেন্সের শিশি উল্টোলে
উদ্বেল হয়ে ওঠে শহর,
মানুষ বোঝেনা—ছুটে চলে পতঙ্গ যেন
আলো-বোনা সোয়েটারে
সার্কাসের আদল—সবাই-ই ক্লাউন কত।
উদ্বেল হয়ে ওঠে শহর,
মানুষ বোঝেনা—ছুটে চলে পতঙ্গ যেন
আলো-বোনা সোয়েটারে
সার্কাসের আদল—সবাই-ই ক্লাউন কত।
আজও এসব থেকে দূর কোথাও
ট্রেন গেলে কাঁপতে থাকে কাঠের সেতু,
কাশের ছোঁয়াবিছানো মোড়াম পথে
কালো সন্ধ্যায় জোনাকির আলো মাখামাখি—
একা রয়ে যায়—একাকীত্বের মত।
ট্রেন গেলে কাঁপতে থাকে কাঠের সেতু,
কাশের ছোঁয়াবিছানো মোড়াম পথে
কালো সন্ধ্যায় জোনাকির আলো মাখামাখি—
একা রয়ে যায়—একাকীত্বের মত।
অনিরুদ্ধ দাস
জামরঙা বদ্বীপে...
চোখেও মৃদঙ্গ বাজে...
বন্যায় সব্বাই ভেজে -
তাই সব প্রেমের - নেই ঋষিজন্ম...
ঢেউ
সুদীপ গুপ্ত
জেগে থাকে ম্যামথেরা
সমব্যথী বেড়াল
মাটি খুঁড়ে তুলে আনে বীজ
নীলাভ শরীরে বাঁধ ভাঙ্গে স্রোত কখন
বির্সজন ঠাকুরপো জানে
রীনাদির কাঁপে বুক ...কাঁপে ঠোঁট
অলঙ্করণ- শ্রীমহাদেব
কোন মন্তব্য নেই