দুটি কবিতা / মৌসম নন্দী, শৈলেন চৌনী
গাছেদের ঢোঁক গেলা বারণ
মৌসম নন্দী
বিপরীতে হেঁটে চলে দুপুর বন-
শুকনো চোখে ফুলের সাথে আলাপ।
পাপড়ি স্রোতে হাহাকার-
প্রজাপতির অস্বস্তি। মানসিক বিকার।
গাছেদের ঢোঁক গেলা বারণ,
রোদ থেকে রক্ত ঝরে পড়ে।
যেখানে রং উঠে যাওয়া মানা-
সেখানে বিকেল মানেই কাঠুরে আনাগোনা।
মৌসম নন্দী
বিপরীতে হেঁটে চলে দুপুর বন-
শুকনো চোখে ফুলের সাথে আলাপ।
পাপড়ি স্রোতে হাহাকার-
প্রজাপতির অস্বস্তি। মানসিক বিকার।
গাছেদের ঢোঁক গেলা বারণ,
রোদ থেকে রক্ত ঝরে পড়ে।
যেখানে রং উঠে যাওয়া মানা-
সেখানে বিকেল মানেই কাঠুরে আনাগোনা।
আমি যা
শৈলেন চৌনী
শৈলেন চৌনী
আমি তো পাথুরিয়া পথ, পথে পড়ে থাকা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র
কাঁকর
বিপুল বন্যাজলে ভেসে সমুদ্রগর্ভে ঠাঁই পাওয়া নিয়তির বালিঘর
আমি তো অসুখ, ভালবাসাহীন রাত্রির বুকে
লিখে রাখা ব্যর্থতার সমূহ প্রতিধ্বনি
এক সঙ্কুচিত মুখ, কুঁকড়ে যাওয়া সবুজ পাতার যৌবন
আমি অনাদর আর অবহেলা, অনিচ্ছায় বেঁচে থাকা গন্ধহীন বুনোফুল
এক ভুল জীবন, ভুলে ভরা খেরোখাতার গল্প, অবুঝ কলরোল
আমি এক স্বপ্নহীন বুক, অন্ধকারে অশ্রুভেজা বালিশে রাখা চিবুক
বিষাদী কোকিলের অজস্র ডাক অথবা নিঃসঙ্গ রাত্রির ডাহুক
আমি তো বিবর্ণ দুপুরের ধূলিচিত্র
জীবনের কুহক, নৈরাশ্য ও নৈঃশব্দ্য।
আমি তো অসুখ, ভালবাসাহীন রাত্রির বুকে
লিখে রাখা ব্যর্থতার সমূহ প্রতিধ্বনি
এক সঙ্কুচিত মুখ, কুঁকড়ে যাওয়া সবুজ পাতার যৌবন
আমি অনাদর আর অবহেলা, অনিচ্ছায় বেঁচে থাকা গন্ধহীন বুনোফুল
এক ভুল জীবন, ভুলে ভরা খেরোখাতার গল্প, অবুঝ কলরোল
আমি এক স্বপ্নহীন বুক, অন্ধকারে অশ্রুভেজা বালিশে রাখা চিবুক
বিষাদী কোকিলের অজস্র ডাক অথবা নিঃসঙ্গ রাত্রির ডাহুক
আমি তো বিবর্ণ দুপুরের ধূলিচিত্র
জীবনের কুহক, নৈরাশ্য ও নৈঃশব্দ্য।
অলঙ্করণ- নচিকেতা মাহাত
কবিতা দুটিতেই মানবীয় প্যাশনেরই আদি ও অকৃত্রিম প্রজ্ঞার অভিব্যক্তি ফুটে উঠেছে। বিকেল মানেই কাঠুরে আনাগোনা এবং বিবর্ণ দুপুরের ধূলিচিত্র সেই হাহাকারকেই নির্দেশ করে।
উত্তরমুছুন