দুটি কবিতা- প্রসাদ রায়, অদিতি চক্রবর্তী
সম্পর্কের চলাচলে
প্রসাদ রায়
প্রসাদ রায়
ফিরে যাবো বলে মুখ ফিরিয়েছি
তখনি দরজা খুলে সম্মুখে দাঁড়ালে
চোখে আলো আর মুখের হাসি
—সঙ্গে আছো, সাংকেতিক হয়ে উঠলো
তখনি দরজা খুলে সম্মুখে দাঁড়ালে
চোখে আলো আর মুখের হাসি
—সঙ্গে আছো, সাংকেতিক হয়ে উঠলো
ঢেউ সামলে টলোমলো নৌকোর মতো
আশ্চর্য ফেরায়
অক্ষুণ্ণ শিকড়ে ছুঁয়ে গেল এক নদী
যা প্রবঞ্চনা জানে না
সম্পর্কের মাঝে এসে শীতবাতাস
কটা দিনে জেগেছে কিছু অসুখ বিসুখ
অভিমান কিছু মিথ্যে
এখন যা ইচ্ছে খেলছে ইচ্ছেরা
ভেতর করিডরে, সংশয়ের মেঘ নেই
একান্তে কোলাজ করি
লঙ ড্রাইভের স্বপ্ন
আশ্চর্য ফেরায়
অক্ষুণ্ণ শিকড়ে ছুঁয়ে গেল এক নদী
যা প্রবঞ্চনা জানে না
সম্পর্কের মাঝে এসে শীতবাতাস
কটা দিনে জেগেছে কিছু অসুখ বিসুখ
অভিমান কিছু মিথ্যে
এখন যা ইচ্ছে খেলছে ইচ্ছেরা
ভেতর করিডরে, সংশয়ের মেঘ নেই
একান্তে কোলাজ করি
লঙ ড্রাইভের স্বপ্ন
কারুবাসা
অদিতি চক্রবর্তী
ভালোবাসা ঝুলিয়ে রেখো না আর
ওটা গায়ে পরো
এখন বসন্তের শেষ বেলা, খুকখুক কাশি,
এক দুটো বোতাম লাগিয়ে নিতে পারো।
না হয় একটু পরে খুলে রেখো একপাশে
কুটকুট করে যদি গোপন ক্ষতে
কিম্বা রোমশ দাসখতের ঠিকানায়--
অবহেলা রেখো না তা'বলে
ভালবাসা, গায়ে পড়া ভালোবাসা,
ঝুলিয়ে রেখো না আর
সকলেই পায় নাকি?
মাপসই করে নিলে ইচ্ছেরা মেলে ঠিক কারুবাসাটায়।
অদিতি চক্রবর্তী
ভালোবাসা ঝুলিয়ে রেখো না আর
ওটা গায়ে পরো
এখন বসন্তের শেষ বেলা, খুকখুক কাশি,
এক দুটো বোতাম লাগিয়ে নিতে পারো।
না হয় একটু পরে খুলে রেখো একপাশে
কুটকুট করে যদি গোপন ক্ষতে
কিম্বা রোমশ দাসখতের ঠিকানায়--
অবহেলা রেখো না তা'বলে
ভালবাসা, গায়ে পড়া ভালোবাসা,
ঝুলিয়ে রেখো না আর
সকলেই পায় নাকি?
মাপসই করে নিলে ইচ্ছেরা মেলে ঠিক কারুবাসাটায়।
অলঙ্করণ- মৌমিতা ভট্টাচার্য
সংশয়ের মেঘ নেই প্রসাদ রায়ের কবিতায় এবং ভালোবাসা ঝুলিয়ে রেখো না অদিতি চক্রবর্তীর কবিতায় যে বার্তা পেলাম তা স্পর্শ করল বটে। কবিদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।
উত্তরমুছুন