দুটি কবিতা / রূপক সান্যাল
কবিতা ও তুমি
কবিতাকে ছুঁয়েছি বলেই না
কবিতাকে ছুঁয়েছি বলেই না
এক জীবনে তোমাকেও ছোঁয়া হলো,
না হলে, আমিও তো নিমগ্ন ছিলাম
হরিতকী বৃক্ষের মত ওষধি আনন্দে-
নিমগ্ন ছিলাম বৈকি
না হলে-
বিশ্বময় এত দেওয়াল তুলি ?
ঝুরঝুরে বেলাভূমির ওপর এত স্বপ্ন জড়ো করি?
কবিতাকে ছুঁয়েছি বলেই না
পৌষের এমন ঘুম-ঘুম রোদে
একবার সর্বনাশকেও
ছুঁয়ে দেখতে সাধ হলো ...
তোমাকে ছুঁয়েছি বলেই না
এই জীবনে কবিতাকেও একবার ছোঁয়া হলো
একদিন
স্পার্মব্যাঙ্কের পাশে বানিয়ে দিও মুদির দোকান
আরও সহজ ক’রে দিও
ম’রে না যাওয়ার মত এইসব বেঁচে থাকা,
বাজার ভর্তি মানুষ, বোধহীন ঘোরাফেরা করে
আহা,
কি মেদুরতা এইসব শূন্যতার,
প্রতিদিনের যাত্রাপালা শেষে
কালো চশমার পোড়া গন্ধে যত্নে থাকবে
আমাদের প্রতিবার টেনে নেওয়া শ্বাস-
একদিন ক’রে দিও এইসব
বানিয়ে দিও যেখানে যা বানাবার...
স্পার্মব্যাঙ্কের পাশেই মুদির দোকান
অথবা শ্মশানের দেয়ালে একটা অস্পষ্ট চৌকাঠ
কোন মন্তব্য নেই