দুটি কবিতা / সৌরভ মিত্র, কৌস্তভ ঠাকুর
স্রোত
সৌরভ মিত্র
সৌরভ মিত্র
সুখে থেকো মেঘ, দুচোখে আবেগ
দূরে চলে যাও,
উড়ে যাও চিল, আকাশের নীল
উড়ে চলে যাও।
দূরে চলে যাও,
উড়ে যাও চিল, আকাশের নীল
উড়ে চলে যাও।
ঝরে যাও কাশ, একলা আকাশ
বোবা পথঘাট,
একা ঝাউগাছ, আগুন ছোঁয়াচ
সোনাঝুরি হাট ।
বোবা পথঘাট,
একা ঝাউগাছ, আগুন ছোঁয়াচ
সোনাঝুরি হাট
রাতজাগা চোখ, ভুলে যাও শোক
তারা গুনে যাও,
শত অব্দের, নৈঃশব্দ্যের
গান শুনে যাও।
তারা গুনে যাও,
শত অব্দের, নৈঃশব্দ্যের
গান শুনে যাও।
ফিরে যাও সুর, গেছ যতদূর
আরও দূরে যাও,
ভেসে যাও ঢেউ, আজ নেই কেউ
কেন আসো তাও?
আরও দূরে যাও,
ভেসে যাও ঢেউ, আজ নেই কেউ
কেন আসো তাও?
আজ নেই কেউ, কেউ নেই আজ
ফুরিয়েছে দায়,
ভেসে গেছি তাই, যদি দেখা পাই
শেষ মোহনায়.....
ফুরিয়েছে দায়,
ভেসে গেছি তাই, যদি দেখা পাই
শেষ মোহনায়.....
বেঁচে আছি
কৌস্তভ ঠাকুর
কৌস্তভ ঠাকুর
প্লীজ একটু দাঁড়ান, আমি সুইসাইডটা করে এসেই বলছি।
চমকে উঠো না! এই বিখ্যাত মুদ্রাস্ফীতিতে জন্মেই তো তুমি
সুইসাইড করে
ফেলেছ!
তুমি লিখেছ কিছু অগুনতি মেলোড্রামাটিক কাব্য।
এই বাজারে সেসব এখন ভেলায় চেপে মাঝ দরিয়ায়!
তুমি লিখেছ কিছু অগুনতি মেলোড্রামাটিক কাব্য।
এই বাজারে সেসব এখন ভেলায় চেপে মাঝ দরিয়ায়!
ডাল দাও..... ডাল দাও।
না.... না....ভাত দাও। ফ্যান দাও।
এইসব গুলিয়ে ফেলা চাওয়ার মাঝে আবার বাঁচতে চাওয়া!
না.... না....ভাত দাও। ফ্যান দাও।
এইসব গুলিয়ে ফেলা চাওয়ার মাঝে আবার বাঁচতে চাওয়া!
এত চেয়ে চেয়ে একদম যা তা
টাইপের ভিখারি হয়ে গেছ।
পিঠে একটা বড় শিরদাঁড়া ঝুলিয়ে রেখেছ।
এবার পারলে একটা শিকারি নেকড়ে হয়ে দেখাও!
অথবা পারলে কালাপাহাড়ের মতো সব ভেঙে উড়িয়ে দাও!
যদি না পারো, তবে আর একবার সুইসাইড করে এসো
এবার পারলে একটা শিকারি নেকড়ে হয়ে দেখাও!
অথবা পারলে কালাপাহাড়ের মতো সব ভেঙে উড়িয়ে দাও!
যদি না পারো, তবে আর একবার সুইসাইড করে এসো
তারপর খোলা ছাদে তোমার মেলোড্রামা তো আছেই !
কিছুকাল পর তুমি আমি যথার্থ সরীসৃপ হয়ে উঠলাম।
অলংকরণ- সঞ্জীব
কোন মন্তব্য নেই