দিনবাদলের ডাক / সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
আজ ভিজে গেছি
বৃষ্টির আবাহনে দমকা হাওয়ায়।
চোখের কাজল লুকিয়ে রেখেছে কেউ
ফুঁ বাতাসে উড়বে কখন রেশমি চুলের ঢেউ
ধরো যদি বৃষ্টি আসে ভ্রুপল্লব বাঁকে
কাজলখানি নামবে ঝরে চোখনদীটির সাঁকে
সমস্ত রং ফেলে তখন গালের উপত্যাকা
সে যেন এক শ্রাবণপরী কালো মেঘে আঁকা
ফুঁ বাতাসে উড়বে কখন রেশমি চুলের ঢেউ
ধরো যদি বৃষ্টি আসে ভ্রুপল্লব বাঁকে
কাজলখানি নামবে ঝরে চোখনদীটির সাঁকে
সমস্ত রং ফেলে তখন গালের উপত্যাকা
সে যেন এক শ্রাবণপরী কালো মেঘে আঁকা
এসো হে মাত্রা ধ্বনি
কেঁপে কেঁপে এসো হিমালয় থেকে তিব্বত
হিন্দিতে প্যায়ার ছাড়া আরও এক নাম মহব্বত
জন্ম হচ্ছে নতুন কবিতার
যারই হাত ধরেছি ভেবেছি মিতা
সেই পড়িয়েছে পাঠ। গীতা
বলেছে রাস্তা কঠিন, হতে হবে পার
জেনে রেখো কেবল কর্মেই অধিকার
সেই যে ফাগের দিন
বুক ভাঙা রং মেলা
আয় বৃষ্টি ঝেঁপে মন
মেঘে মেঘে কত বেলা
দুখের ব্যাধি যেমন নদী
শুধু যে একা নয়
মোহের আবেশে উথাল পাতাল
নেই তার কোনও ভয়
কে ভেজেনি সত্যি করে বলো
মেঘের আঁচল খোলা
মেঘ নয় সে তো সন্ধি করেছে
নদী থেকে ডোবা, পুকুর থেকে জলা
মহুল বনের মাচা
মাতাল মাতাল মন
কি সুখ আছে তাতে
যে ভিজিয়েছে হাত
জানে সেই জন
ধ্রুপদী সত্য
সব কটি কথ্য
আছে আরও প্রমাণ
মাঝ রাতে কেউ বর্ষণ দেখে!
একাকী যার নাম
সে কথা আজ থাক, দিনবাদলের ডাক
বকুল পাতায় আজ শ্রাবণের শেষ
জানালার ধারে কাটবে আমার সারাদিন অনিমেষ।
কোন মন্তব্য নেই