দুটি কবিতা / রবীন বসু
নিরাময়
সমস্ত অসুখ আর মন-খারাপের পরেও
কিছু নিরাময় দিন পড়ে থাকে;
কিছু শুশ্রূষা যা অবশিষ্ট, বিকেলের
মেঘে জমা হয়। অন্ধকারে তারার আলোয়
কম্পন জাগে, মহাজাগতিক কোন
সংকেত ইথারতরঙ্গে....
নীলাভ এলিয়ানদের মিছিল শুরু হবে
মহাবিশ্ব থেকে পৃথিবীর দিকে।
জাগতিক হিসাব-নিকাশ কৌটোবন্দি,
পরিভ্রমণ শেষ হলে পড়ে থাকে অবকাশ
প্রশান্তি তারই পাশে হাঁটুমুড়ে চুপচাপ
সমস্ত অসুখ আর মন খারাপের পরেও.....
কিছু নিরাময় দিন পড়ে থাকে;
কিছু শুশ্রূষা যা অবশিষ্ট, বিকেলের
মেঘে জমা হয়। অন্ধকারে তারার আলোয়
কম্পন জাগে, মহাজাগতিক কোন
সংকেত ইথারতরঙ্গে....
নীলাভ এলিয়ানদের মিছিল শুরু হবে
মহাবিশ্ব থেকে পৃথিবীর দিকে।
জাগতিক হিসাব-নিকাশ কৌটোবন্দি,
পরিভ্রমণ শেষ হলে পড়ে থাকে অবকাশ
প্রশান্তি তারই পাশে হাঁটুমুড়ে চুপচাপ
সমস্ত অসুখ আর মন খারাপের পরেও.....
নিঃশব্দ নির্মাণ
কে যেন গভীরে যায়। আমাকে জড়িয়ে নাড়িয়ে
লতার মত আকুলি-বিকুলি করে
গড়ে ওঠে, বেড়ে ওঠে—নিঃশব্দ নির্মাণ শেষে
শব্দের মিনার উঁকি মারে।
যতবার তাকে বলি, পাশে বস, দাঁড়াও খানিক
ততবার দূরে সরে,অজুহাত খাড়া করে
সীমাহীন কুয়াশাঢাকা দূরত্ব বাড়ায়।
সে দূরত্বে আলো আছে, অনির্দেশ যাত্রার প্রস্তুতি
সঙ্গীহীন ভ্রমণের শেষে
তবুও সে শান্ত থাকে, নির্মোহ ঔদাসিন্য....
মেঘভাঙা-বৃষ্টি নামে, শব্দের শিল্পকে ঘিরে
অহরহ আমাদের বেঁচে থাকার এই পরিশ্রম।
লতার মত আকুলি-বিকুলি করে
গড়ে ওঠে, বেড়ে ওঠে—নিঃশব্দ নির্মাণ শেষে
শব্দের মিনার উঁকি মারে।
যতবার তাকে বলি, পাশে বস, দাঁড়াও খানিক
ততবার দূরে সরে,অজুহাত খাড়া করে
সীমাহীন কুয়াশাঢাকা দূরত্ব বাড়ায়।
সে দূরত্বে আলো আছে, অনির্দেশ যাত্রার প্রস্তুতি
সঙ্গীহীন ভ্রমণের শেষে
তবুও সে শান্ত থাকে, নির্মোহ ঔদাসিন্য....
মেঘভাঙা-বৃষ্টি নামে, শব্দের শিল্পকে ঘিরে
অহরহ আমাদের বেঁচে থাকার এই পরিশ্রম।
অলংকরণ- সঞ্জীব
কোন মন্তব্য নেই