স্তব্ধ হও স্তব্ধতা / সুমন্ত চট্টোপাধ্যায়
ধীরলয়ে, যতই নীরবতার গহীন পথ বেয়ে
অনভ্যস্ত শিশুর মত হাঁটতে থাকো,
মনে হবে, আঁধার ঠিক ততটাও আঁধার নয়,
কোথাও কোনো জলজ ফসফরাস যেন
আলো চুঁইয়ে পড়ছে—খুব, টসটসে—
অনভ্যস্ত শিশুর মত হাঁটতে থাকো,
মনে হবে, আঁধার ঠিক ততটাও আঁধার নয়,
কোথাও কোনো জলজ ফসফরাস যেন
আলো চুঁইয়ে পড়ছে—খুব, টসটসে—
কালের গর্ভে অবলুপ্ত অব্যক্তেরা
কাঁপছে হয়তো থিরথির—থিরথির,
কোথাও স্ট্রীটলাইট জ্বলার একটানা শব্দ
প্রেয়সীর অভিমান শুঁষে নিলেও
বুকের ভেতর হেঁটে যায় সূক্ষ্ম প্রভাকীট—
কাঁপছে হয়তো থিরথির—থিরথির,
কোথাও স্ট্রীটলাইট জ্বলার একটানা শব্দ
প্রেয়সীর অভিমান শুঁষে নিলেও
বুকের ভেতর হেঁটে যায় সূক্ষ্ম প্রভাকীট—
কোথাও যেন বাধা পাচ্ছে স্তব্ধতার স্রোত,
কিছু মুহুর্মুহু বিস্ফোরণের পরও যেমন
পৃথিবীজুড়ে নৈঃশব্দ্য নামেনা,
সেভাবেই হাত রাখো নাটনের দারুশিল্পে
আর জেনে নাও, প্রাণ ফুরোলেও প্রাণ ফুরোয় না—
হাঁটতে হাঁটতে কোনো পক্ককেশ বৃদ্ধের ন্যায়
যদি চোখ রাখো ঐ স্থির শুকতারায়,
দক্ষিণ-এশিয়ার কোনো বিস্মৃতপ্রায় মন্দিরগর্ভে
যে শীতলতা লালিত হচ্ছে কয়েক শতাব্দী,
সে-ও বলতে পারবে না, কিভাবে স্তব্ধ হতে হয়—
কিছু মুহুর্মুহু বিস্ফোরণের পরও যেমন
পৃথিবীজুড়ে নৈঃশব্দ্য নামেনা,
সেভাবেই হাত রাখো নাটনের দারুশিল্পে
আর জেনে নাও, প্রাণ ফুরোলেও প্রাণ ফুরোয় না—
হাঁটতে হাঁটতে কোনো পক্ককেশ বৃদ্ধের ন্যায়
যদি চোখ রাখো ঐ স্থির শুকতারায়,
দক্ষিণ-এশিয়ার কোনো বিস্মৃতপ্রায় মন্দিরগর্ভে
যে শীতলতা লালিত হচ্ছে কয়েক শতাব্দী,
সে-ও বলতে পারবে না, কিভাবে স্তব্ধ হতে হয়—
অলঙ্করণঃ নচিকেতা মাহাত
কোন মন্তব্য নেই