তিনটি কবিতা / শক্তিশঙ্কর সামন্ত, অদিতি চক্রবর্তী, মনোজ অধিকারী
কথা কেনা-বেচা
শক্তিশঙ্কর সামন্ত
তিনি বলেছিলেন, কথা কিনতে হয়
কথা বেচতে যেওনা কখনও
আভিজাত্য অটুট রেখো, আজীবন।
তারপর থেকে কথা কিনেছি শুধু
বেচার সাহস হয়নি
আজ জমতে জমতে
আমিই এক কথার পাহাড়
হাঁসফাঁস করছি রাতদিন;
কথাদের উত্তাপে
উচ্চ রক্তচাপের মতো
আমি এখন অসহায়, একাকী।
আজ এতদিন পর
আমি এক কথার ফেরিওয়ালা
কিন্তু স্বার্থের আবর্জনাভরা
এসব-কথা কেনে না কেউ
তাই ক্লান্ত আমি, নিঃসঙ্গ আমি
উড়িয়ে দিতে চাই কথাদের
শূন্য আকাশে
আকাশও বিমুখ করে আমায়।
আজ এতদিন পর
তাঁকে খুঁজে ফিরি—যিনি বলেছিলেন
কথা কিনতে হয়, বেচতে নেই।
অদিতি চক্রবর্তী
কি যেন ঠিক বলেছিল মেয়ে?
মরার আগে মরার পরে অথবা তার মৃত্যুকালে
কার জালে জড়িয়েছে, কি তার বুনট?
অস্ফুটে পোয়াতির ছয়লাপ লাল থেকে লালে
মাংসাশী ছুরির ফলা কেটেকুটে স্যালাড সাজালে
ছন্নভোর এলো স্বাভাবিক ছবিঘরে
সে কী জানতোনা?
কালীয়নাগের ফণা বিষ পোষে নিরীহ ছোবলে
শরীর শরীর জানে মন চায় মন,
বাকী সব সিপিয়াতে চাঁদ হয়ে জ্বলে।
অভ্যাগত
মনোজ অধিকারী
হাত বটে, হাতলও
শঙ্কায় জেগে উঠে চাঁদ
আহা দিগন্ত, দিকশূন্য
তপোবন ও তপস্যা।
প্রিয়রা আজ আক্ষরিক
শিয়াল অথবা সাপ
তাদেরই লুকানো গর্তে
আমারই পরবাস।
জিহ্বায় কাটি দাঁত
হে পুরানো অভ্যাস।]
অলঙ্করণঃ নচিকেতা মাহাত
কোন মন্তব্য নেই