খন্ড কবিতা / চন্দনকৃষ্ণ পাল
আবর্ত সৃষ্টি করে জলস্রোত
দিক পাল্টায় নৌকোর শরীর
মাঝি বৈঠা তুলে নিসর্গ দ্যাখে।
তোমার তাবৎ ইচ্ছে জলস্রোত হয়ে
আবর্ত সৃষ্টি করে,
আমার ইচ্ছে নিয়ে চমৎকার লোফালুফি
খেলো তুমি,
আমি নির্বাক থাকি, রাগ ক্ষোভ সব কিছু
ভুলে।
নরখাই নদী কোন দিন নর খেলেও
ইদানীং বালিরাশি তাকেই গিলেছে
‘চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায়’
এ সত্যি তুমি মানবে কিনা একান্তই
তোমার ব্যাপার।
ইট সাজালে কাঠ সাজালে
আরও কত কিছু, ভাবসাব এই বুঝি
বিশাল দালান উঠছে আকাশ ফুড়ে
রাত কয়েক গত হতে না হইে
ফুস মন্তরে সব হাওয়া,
খোলা মাঠের শরীরে বাতাসেরা
গোল্লাছুট খেলতে খেলতে
কান্ত হলে এখানে এসে শান্ত হয়ে যায়।
তুলি কলম কাস্তে
সব কিছু তেমনি দিব্যি আছে
দেয়ালে রঙ্গিন লিখন আরও স্পষ্ট
তারপরও বিপ্লব ধানমন্ডি গুলশানে হাওয়া
খেতে যায়।
বিপ্লব কি সারা জীবন শুধুই হাওয়া খাবে?
অলঙ্করণঃ চিন্ময় মুখোপাধ্যায়
কোন মন্তব্য নেই