দুটি কবিতা / মাসুমা আক্তার রুমা, অনুভা বন্দ্যোপাধ্যায়
এক জোড়া শালিকের গল্প
মাসুমা আক্তার রুমা
বিস্তীর্ণ আঙ্গিনা, ঘাসের বুকে মাথা গুজে
চেয়ে আছি মধ্য রাতের স্বচ্ছ জ্যোৎস্নার দিকে।
মাঝে মাঝে উদাসীন কিছু হাওয়া এসে হৃদয়ের গভীর ছুঁয়ে যায়।
ঝরা পাতারা স্থিরতার গন্ডি পেরিয়ে প্রবল নৃত্যে মেতে ওঠে।
এক একটা সাদা মেঘ যখন জ্যোৎস্নার শরীর ছুঁয়ে যায় মনে হয়
ফেলা আসা দিনগুলোর হিসেবের পাতা উল্টাচ্ছি আমি।
হঠাৎ দুটি মেঘ দুদিক থেকে ধেয়ে এসে আলিঙ্গনরত হয়ে রূপ ধারণ করে
এক জোড়া শালিকের আর ঢেকে দেয় জ্যোৎস্নার মুখ।
এরপর রাতের আকাশে তাকালে আমি জ্যোৎস্না খুঁজে পাইনা,
পাই শুধু এক জোড়া শালিক।
মাসুমা আক্তার রুমা
বিস্তীর্ণ আঙ্গিনা, ঘাসের বুকে মাথা গুজে
চেয়ে আছি মধ্য রাতের স্বচ্ছ জ্যোৎস্নার দিকে।
মাঝে মাঝে উদাসীন কিছু হাওয়া এসে হৃদয়ের গভীর ছুঁয়ে যায়।
ঝরা পাতারা স্থিরতার গন্ডি পেরিয়ে প্রবল নৃত্যে মেতে ওঠে।
এক একটা সাদা মেঘ যখন জ্যোৎস্নার শরীর ছুঁয়ে যায় মনে হয়
ফেলা আসা দিনগুলোর হিসেবের পাতা উল্টাচ্ছি আমি।
হঠাৎ দুটি মেঘ দুদিক থেকে ধেয়ে এসে আলিঙ্গনরত হয়ে রূপ ধারণ করে
এক জোড়া শালিকের আর ঢেকে দেয় জ্যোৎস্নার মুখ।
এরপর রাতের আকাশে তাকালে আমি জ্যোৎস্না খুঁজে পাইনা,
পাই শুধু এক জোড়া শালিক।
জীবন প্রেম
অনুভা বন্দ্যোপাধ্যায়
আমি একটু একটু করে পিছিয়ে যৌবন থেকে কৈশোরে যাব
শৈশব আর কৈশোরের সন্ধিক্ষণে
তোমার উদ্বায়ী স্বপ্নের ফেরিওয়ালা হব।
তোমার উদ্বায়ী স্বপ্নের ফেরিওয়ালা হব।
সমুদ্রের চৌকাঠ পেরিয়ে চাঁদ
ডোবানো শাদা রাতের আলোয় তোমার সঙ্গে ভিজবো।
জলরঙা রামধনুর সাতরঙ মেখে তোমার
প্রেয়সী হব।
সোনাঝুরি ঝর্ণার জলবিন্দুতে ডুবে
মৌনতায় শব্দমুখর হব।
আবেশি শীতে তোমার হৃদ উষ্ণতায়
গলে যাওয়া
একটুকরো প্রেম হব।
একটুকরো প্রেম হব।
তোমার চোখের নামতারা বাউল আকাশে
রোদেলা শঙ্খচিল হব।
রোদেলা শঙ্খচিল হব।
আমি একটু একটু করে পিছিয়ে যৌবন
থেকে কৈশোরে যাব।
অলঙ্করণঃ নচিকেতা মাহাত
কোন মন্তব্য নেই