দুটি কবিতা / দীপ রায়
শ্রেণি-সুখ
একটা আবরণহীন শরীরের
আনাচে-কানাচে
দৃশ্যমান যত টুকরো টুকরো মেঘ
সে সকল কুড়িয়ে একে একে জুড়ে
লেপটে নিয়েছিলে দু-চোখের পাতায়
তারপর মঞ্চে উঠে চারিদিকটা একবার দেখে
দ্রুত ডায়াসে পৌঁছে
মাউথ-পিসে দুটো আলতো টোকায় বক্তব্য রাখলে
সুতীক্ষ্ণ কণ্ঠে
"হুম্, তো আজকের বিষয় হলো খোলস "
টানা সাত-মিনিট
তারপর আরও দুই খরচা করেছিল মুগ্ধ শ্রোতাগণ জোড়া হাতে
অথচ শেষ রাতে যখন বাড়ি ফিরছো একা
রিয়ারভিউ কাচে ভেসে ওঠা সে সকল মেঘকুচির
ছবি বড় বেখাপ্পা ঠেকলো
আঁটসাঁট সিট-বেল্ট বাঁধা সে মুহূর্তের তুমির
দৃশ্যমান যত টুকরো টুকরো মেঘ
সে সকল কুড়িয়ে একে একে জুড়ে
লেপটে নিয়েছিলে দু-চোখের পাতায়
তারপর মঞ্চে উঠে চারিদিকটা একবার দেখে
দ্রুত ডায়াসে পৌঁছে
মাউথ-পিসে দুটো আলতো টোকায় বক্তব্য রাখলে
সুতীক্ষ্ণ কণ্ঠে
"হুম্, তো আজকের বিষয় হলো খোলস "
টানা সাত-মিনিট
তারপর আরও দুই খরচা করেছিল মুগ্ধ শ্রোতাগণ জোড়া হাতে
অথচ শেষ রাতে যখন বাড়ি ফিরছো একা
রিয়ারভিউ কাচে ভেসে ওঠা সে সকল মেঘকুচির
ছবি বড় বেখাপ্পা ঠেকলো
আঁটসাঁট সিট-বেল্ট বাঁধা সে মুহূর্তের তুমির
বিদ্রোহ করি
বিদ্রোহ করি বাসের ভিড়ে
ঘাড় ঘেঁষা যত গরম হাওয়ায়
বিদ্রোহ করি গলির বাঁকে
দেওয়াল-খসা কূল কিনারায়
ঘাড় ঘেঁষা যত গরম হাওয়ায়
বিদ্রোহ করি গলির বাঁকে
দেওয়াল-খসা কূল কিনারায়
বিদ্রোহ করি রাতের চাঁদে
নিষিদ্ধতার ফাঁক-ফোঁকরে
বিদ্রোহ করি ভাতের থালায়
মতিভ্রমের পথ পেরিয়ে
নিষিদ্ধতার ফাঁক-ফোঁকরে
বিদ্রোহ করি ভাতের থালায়
মতিভ্রমের পথ পেরিয়ে
বিদ্রোহ করি বন্ধ ছাতায়
মুষলধারের রঙিন ছিটে
বিদ্রোহ করি রোজ সকালে
ভাবলেশহীন আয়না কাঁচে
মুষলধারের রঙিন ছিটে
বিদ্রোহ করি রোজ সকালে
ভাবলেশহীন আয়না কাঁচে
বিদ্রোহ করি ভিজে অনুভবে
ধেয়ে আসা চোট- আঘাতে
বিদ্রোহ করি নিখোঁজ সময়ে
আঙুল জোড়ার ছোট্ট ফাঁকে
অলঙ্করণঃ সঞ্জীব
ধেয়ে আসা চোট- আঘাতে
বিদ্রোহ করি নিখোঁজ সময়ে
আঙুল জোড়ার ছোট্ট ফাঁকে
কোন মন্তব্য নেই