দুটি কবিতা / রাজর্ষি দে, সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়
একলা দুপুর বৃষ্টি এলো নিম্নচাপ;
অলস মায়া বুড়বুড়ি দেয় মনখারাপ!
বয়স্ক দুই হাত খুঁজে নেয় এক ছাতি,
বেরসিকের ভরসা শুধুই বর্ষাতি!
দেখতে দেখতে বিকেল নামে জানলাতে।
গ্লাসের মাঝে বরফ কুচি কান পাতে;
বর্ষা জলে ভিজিয়ে নিয়ে নিখুঁত পেগ
নগর জুড়ে আসর বসায় বরুণদেব!
মদের গ্লাসে মিশিয়ে দিচ্ছি খুচরো পাপ..
ভালবাসার নাম তো জানাই – মনখারাপ।
অতিজীবিত
সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়
এই যে অতিজীবিত হয়ে বেঁচে থাকা
আর রক্ত খুলে লিখে নেওয়া অশ্রুপাতের দিন
সুড়ঙ্গ ভাঙতে ভাঙতে হেঁটে চলেছে মৃত্যু
প্রগাঢ় অন্ধকারের ভেতর।
আর রক্ত খুলে লিখে নেওয়া অশ্রুপাতের দিন
সুড়ঙ্গ ভাঙতে ভাঙতে হেঁটে চলেছে মৃত্যু
প্রগাঢ় অন্ধকারের ভেতর।
আসলে কিছুই না নিছকই অন্যরকম
ধ্বংস আর গোপন অভিসন্ধির মাঝে
ব্যক্তিগত অজুহাতে পাতা উলটে যাওয়া।
ধ্বংস আর গোপন অভিসন্ধির মাঝে
ব্যক্তিগত অজুহাতে পাতা উলটে যাওয়া।
পাথর ভাঙার শব্দ থেকে
আলাদা করে তুলে রাখা জল ও প্লবতার স্বর
আলাদা করে তুলে রাখা জল ও প্লবতার স্বর
কানের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে
মৃত্যু
আর আমরা মাথা নত করে দিচ্ছি
অনেক দূরে আটকে থাকা কুয়াশার ভেতর।আর আমরা মাথা নত করে দিচ্ছি
কোন মন্তব্য নেই