দুটি কবিতা / দয়াময় পোদ্দার
একুশে ফেব্রুয়ারি
বাবা ঘুম জাগিয়ে বললেন – দ্যাখ্, আর আঁধার নেই
চোখ- মুখ ধুয়ে এবার পড়তে বস !
ডিমের কুসুমের মতো সূর্যটা কৃষ্ণচূড়া ফুলে
একখানা মস্তবর চুমু খেয়ে গেল।
সকালে উনুনের পরে মাটির হাঁড়িটায়
কলার মোচা ধানের চাল ফুটছে টগবগ করে;
থালাভর্তি টগর ফুলের মতো ভাত
মা, ঘাটকলের ডাঁটা দিয়ে শিল-নোড়ায় সরষে বাটছেন
এসময় মায়ের মুখ আশ্চর্য এক আলোক-দ্যূতিতে উদ্ভাসিত
গতকাল ও এই আলো দেখা যায়নি;
আমি উনুনের পাশে বসে মায়ের উষ্ণতায় শিখে নিই
বাল্যশিক্ষার প্রথম পাঠ!
বাবা ঘুম জাগিয়ে বললেন – দ্যাখ্, আর আঁধার নেই
চোখ- মুখ ধুয়ে এবার পড়তে বস !
ডিমের কুসুমের মতো সূর্যটা কৃষ্ণচূড়া ফুলে
একখানা মস্তবর চুমু খেয়ে গেল।
সকালে উনুনের পরে মাটির হাঁড়িটায়
কলার মোচা ধানের চাল ফুটছে টগবগ করে;
থালাভর্তি টগর ফুলের মতো ভাত
মা, ঘাটকলের ডাঁটা দিয়ে শিল-নোড়ায় সরষে বাটছেন
এসময় মায়ের মুখ আশ্চর্য এক আলোক-দ্যূতিতে উদ্ভাসিত
গতকাল ও এই আলো দেখা যায়নি;
আমি উনুনের পাশে বসে মায়ের উষ্ণতায় শিখে নিই
বাল্যশিক্ষার প্রথম পাঠ!
প্রভাত ফেরি
দুটি চড়ুই পাখি সকালের সোনালি রোদে
এক্কা- দোক্কা খেলে।
গায়ে ধুলো মেখে ফিরে আসে। জানালায় বসে।
কিছুক্ষণ পরে উড়ে যায়।
আমি গ্রীলে লেগে থাকা ধুলো গায়ে মাখি,
কস্তুরি আঘ্রাণে ঘর ভরে যায়।
বনগাঁর রাস্তায় মিছিল- সীমান্তে পৌঁছয়...
সরকারি অফিসের দেয়ালে একুশে শ্লোগান, রক্ত, আর
জানালার ওপারে আমার শিশির ভেজা ঘাসে
পায়ের ছাপ!
দুটি চড়ুই পাখি সকালের সোনালি রোদে
এক্কা- দোক্কা খেলে।
গায়ে ধুলো মেখে ফিরে আসে। জানালায় বসে।
কিছুক্ষণ পরে উড়ে যায়।
আমি গ্রীলে লেগে থাকা ধুলো গায়ে মাখি,
কস্তুরি আঘ্রাণে ঘর ভরে যায়।
বনগাঁর রাস্তায় মিছিল- সীমান্তে পৌঁছয়...
সরকারি অফিসের দেয়ালে একুশে শ্লোগান, রক্ত, আর
জানালার ওপারে আমার শিশির ভেজা ঘাসে
পায়ের ছাপ!
কোন মন্তব্য নেই