বৈশাখী / সুমন্ত চ্যাটার্জী
অলসরঙা ঝিম দুপুর।
মুকুলের গন্ধ দিয়ে আসন বুনছে
পালাগানের আদুরে স্বপ্ন।
দাওয়ার এককোণে বসে উপন্যাসের শেষপাতাটা
যেন কুলোর জীবন থেকে
বেছে নিচ্ছে সুখ আর দুঃখগুলো।
এখানেই যবনিকা টানা যেত—
মুকুলের গন্ধ দিয়ে আসন বুনছে
পালাগানের আদুরে স্বপ্ন।
দাওয়ার এককোণে বসে উপন্যাসের শেষপাতাটা
যেন কুলোর জীবন থেকে
বেছে নিচ্ছে সুখ আর দুঃখগুলো।
এখানেই যবনিকা টানা যেত—
কিন্তু পড়শি ছাদের ওপর
যে শহর-ফেরত মেঘ উঠেছে
তার চাহনিতে বদলে যায় সব।
কনভেন্ট স্কুল-লাভার্স পয়েন্ট-বিয়ার বার
ছুঁয়ে আসা ধোপদুরস্ত
খড়কুটোর মত ভাসিয়ে নিয়ে যায়,
কালবৈশাখী স্রোতে।
সামান্য ধুলোর কণাও আকাশে উড়তে উড়তে
একদিন ভেবে নেয় সে পাখি হয়ে গেছে!
ডানায় যতটা উড়ান মজুত
সে ছেড়ে দেয় নিজেকে—মুক্ত বাতাসের দোলায়।তার চাহনিতে বদলে যায় সব।
কনভেন্ট স্কুল-লাভার্স পয়েন্ট-বিয়ার বার
ছুঁয়ে আসা ধোপদুরস্ত
খড়কুটোর মত ভাসিয়ে নিয়ে যায়,
কালবৈশাখী স্রোতে।
সামান্য ধুলোর কণাও আকাশে উড়তে উড়তে
একদিন ভেবে নেয় সে পাখি হয়ে গেছে!
ডানায় যতটা উড়ান মজুত
আর তারপর কোনো একদিন—
দাওয়ার আলো নিভে যায়।
পড়ে থাকা সোঁদা গন্ধটুকু দিয়ে
সে আজও বুনতে চায় আপ্রাণ—
দাবদাহ বাড়ে-বর্ষা নামেনা।
কোন মন্তব্য নেই