ভোরের প্রতীক্ষা / সুব্রত মুখোপাধ্যায়
এই নিস্তব্ধতার শব্দ শুনতে পারছো কি তুমি -
কি ভয়ঙ্কর ! কি বুকফাটা ! তাই না ?
যদি পেরে থাকো তো বলি ।
দোহাই , ওকে থামাতে যেও না !
‘শব্দের নিস্তব্ধতা’ ওর জায়গা নিলে ,
উফ ! বধির হয়ে যাব আমি ।
শূন্যের আলালে মায়া কোলে ,
খেলা করাই যে আমার পেশা ...
দিশাহীন জীবনের যন্ত্রণা পাচ্ছে –
চাবুকে মর্দিত
, থামে
বাঁধা কিছু আশা !
ভূত আর ভবিষ্যৎ - দুটোই হাতে রাখা আছে ;
একটু তফাতে রেখেছি ....
ঠোকা লেগে ভেঙে যায় পাছে !
জীবনটা আজ যেন কোনও কথক আসরে
হঠাৎ ফেঁসে যাওয়া এক অবাধ্য আনদ্ধ বাদ্য !
আওয়াজ করে কেঁদে ওঠা যাবে না -
চিড় খাওয়া গুঁড়ির কাঠ ,
তায় লেগেছে ঘুণে -
মরচে পড়া তীর ! মুচকি হাঁসে একলব্যের তূণে !
অদূরে থাকা ওই অশথ গাছের পাতা –
ঝরে পড়ার আগে, গেয়ে যেতে চায়
তার বিগত পুরাণ গাথা ...
বুঝেছি আমি আজ এত দিনে ,
বস্তুটি মিলিয়ে গেছে কোন অজানা ক্ষণে .....
হয়তো বিশ্বাস করে ফেলেছিলাম ; তাই
যা কিছু আজ আছে , চাপা দিয়ে রাখতে চাই ।
একটু বলে যাও না ভাই –
ভোর হতে আর কত দেরি !
আহা।।। অনবদ্য সঙ্কলন। বারবার পড়ার মতো। অভূতপূর্ব লাগলো।
উত্তরমুছুন