উপহার / মাহমুদ নজির
সুচরিতা, তোমার দেওয়া বাঁশের বাঁশিটি
এখন আর আগের মতো বাজেনা। প্রতি ঘাটে ঘাটে, ফোঁড়ায় ফোঁড়ায়
যতোবার ফুঁ দি ততোবারই আটকে যায়। বাঁশিটি কিনে দিয়েছিলে তুমি
চৈত্র পুজায় কাইতলা হাটের মেলা থেকে।
তিরিশ বছর হলো ঝুলিয়ে রেখেছি শোবার ঘরে মাচালের উপর।
মাঝেমাঝে দেখি ওটাকে, হাত বুলোই।
মনে পড়ে তোমার কথা।
এক অজানা ব্যথা এসে বুকের ভিতর নড়ে ওঠে।
ভাবি সময় কীরকম দ্রুত চলে যায় তাইনা সুচরিতা?
আজ তুমি অন্যের ঘরে।
এখন আর আগের মতো বাজেনা। প্রতি ঘাটে ঘাটে, ফোঁড়ায় ফোঁড়ায়
যতোবার ফুঁ দি ততোবারই আটকে যায়। বাঁশিটি কিনে দিয়েছিলে তুমি
চৈত্র পুজায় কাইতলা হাটের মেলা থেকে।
তিরিশ বছর হলো ঝুলিয়ে রেখেছি শোবার ঘরে মাচালের উপর।
মাঝেমাঝে দেখি ওটাকে, হাত বুলোই।
মনে পড়ে তোমার কথা।
এক অজানা ব্যথা এসে বুকের ভিতর নড়ে ওঠে।
ভাবি সময় কীরকম দ্রুত চলে যায় তাইনা সুচরিতা?
আজ তুমি অন্যের ঘরে।
আর আমি সেই পুরনো ভাঙা বাঁশিটি
নিয়ে
মরুভূমির তপ্ত বালুচরে
প্রতীক্ষায় দিন গুনছি।
কখনো সজোরে ফুঁ দেই, কখনো নেড়েচেড়ে দেখি
বাঁশি আর আগের মতো সুর তুলেনা।
কোন মন্তব্য নেই