প্রথম আষাঢ় / জয়তী নন্দী
আবার এসেছে আষাঢ়...
দরজা খুলে দাও।
ভদ্রলোকের ড্রয়িংরুম, বাসনমাজা ছাই,
মাছের আঁশ আর বাটিসাবানের ফেনা
একাকার হয়ে যাক।
একাকার হয়ে যাক।
পাশের বস্তির ছেলেগুলোর
এখন রোজ রেনি ডে।
অচেতন শয্যাশিয়রে হাজাধরা হাতের
উষ্ণতা - এই তো সময়।
উষ্ণতা - এই তো সময়।
ও বাড়ির ছাদে সাইজ জিরো বুলটি
বৃষ্টির জল জড়িয়ে নিচ্ছে এলোচুলে!
করিনা কাপুরের বাঁধা রিক্সা
তাকে জল ভেঙে পৌঁছে দেয় বাসস্ট্যান্ড
সি-এল বাঁচানো ডবল ভাড়ায়।
ঠিক তখনই চলকায় বেচুদার ইস্পেশাল গরম মালাই চা।
রাক্কুসি মাগি, এ জম্মে আর ঘর হলো না তোর।
চল্লিশটা আষাঢ় গেছে, উনচল্লিশ বসন্ত।
সেও আজ ধারাস্নানে চুপিচুপি রক্ত ধুয়ে নেয়।
অথচ আমাদের সমুদ্রসোহাগি নদী এ গলি ও গলি ঘুরে,
দ্যাখো ঠিক খুঁজে নেবে বেনোজল।
চল্লিশটা আষাঢ় গেছে, উনচল্লিশ বসন্ত।
সেও আজ ধারাস্নানে চুপিচুপি রক্ত ধুয়ে নেয়।
অথচ আমাদের সমুদ্রসোহাগি নদী এ গলি ও গলি ঘুরে,
দ্যাখো ঠিক খুঁজে নেবে বেনোজল।
ওই একটা মাসই পাড়ায় পাড়ায় উৎসব।
কোন মন্তব্য নেই