দু’টি কবিতা / শুক্লা মালাকার
তুমি কি জান!
উড়তে
থাকা একটা পাখি ডানা নাড়িয়ে বলে গেল
কী বলে গেল! যাই, নাকি আবার আসবো!
কী বলে গেল! যাই, নাকি আবার আসবো!
এই
হাত বাড়ানো শীতল বিকেলে
পাইনের সারি আর দূরের শিখররাজির মাঝে
পাখিদের কুলে ফেরা, ওরা কি ঠোঁটে করে
নিয়ে গেল তোমার হারিয়ে যাওয়া চিঠি
যার খামের গন্ধ এখনো নাকে লেগে আছে
অনন্ত ভুলের রাশি ঠেলে উঠে দেখি তুমি ফেলে গেছ
পাইনের সারি আর দূরের শিখররাজির মাঝে
পাখিদের কুলে ফেরা, ওরা কি ঠোঁটে করে
নিয়ে গেল তোমার হারিয়ে যাওয়া চিঠি
যার খামের গন্ধ এখনো নাকে লেগে আছে
অনন্ত ভুলের রাশি ঠেলে উঠে দেখি তুমি ফেলে গেছ
ওই
যে আবার একটা ফুল ফুটল
ওদের ফুটে ওঠার শব্দে এত ঘাবড়াই কেন বলতো
রেখে যাওয়া তোমার মন ছুঁয়ে রোজ রোজ
খাদের থেকে ভেসে আসা মেঘদল সূর্য পেরোয়
ওরা কি তোমার কাছে আমার কথা বলে!
বলে! গোধুলিতে ছড়ানো রঙ মেখে ক্রমশ দূরত্ব মুছে ফেলেছি
ওদের ফুটে ওঠার শব্দে এত ঘাবড়াই কেন বলতো
রেখে যাওয়া তোমার মন ছুঁয়ে রোজ রোজ
খাদের থেকে ভেসে আসা মেঘদল সূর্য পেরোয়
ওরা কি তোমার কাছে আমার কথা বলে!
বলে! গোধুলিতে ছড়ানো রঙ মেখে ক্রমশ দূরত্ব মুছে ফেলেছি
তুমি
কি জান খেয়ালি উৎসব শেষে খুব শীগগির
তোমার মতোই এক
নির্ভেজাল তারা হব!
তৃষ্ণা
কুম্ভকর্ণের মতো লম্বা ঘুম ভেঙে উঠে দেখি
অলস বিছানায় আমার মৃত ছাত্রাবাস
বাথরুমে কাঁচের অবয়বে
অন্তহীন কামনার লেফটওভার
সুড়ঙ্গের মতো একা পথ সোজা চলে গেছে
তৃষ্ণার ক্ষেতে
সেখানে রাঙা হয়ে ফুটে আছে বাসনা
ভ্যাপসা গরমে সেদ্ধ হওয়া মিছিলের মুখ
বাইশ ডিগ্রিতে আরাম খুঁজে ফেরে
অলস বিছানায় আমার মৃত ছাত্রাবাস
বাথরুমে কাঁচের অবয়বে
অন্তহীন কামনার লেফটওভার
সুড়ঙ্গের মতো একা পথ সোজা চলে গেছে
তৃষ্ণার ক্ষেতে
সেখানে রাঙা হয়ে ফুটে আছে বাসনা
ভ্যাপসা গরমে সেদ্ধ হওয়া মিছিলের মুখ
বাইশ ডিগ্রিতে আরাম খুঁজে ফেরে
প্রতিবাদ,
ছাত্র বিপ্লবের দিন পেরিয়ে এখন
নিপুণ ঘোড়সওয়ার হয়ে ওঠা অতন্ত্য জরুরী।
নিপুণ ঘোড়সওয়ার হয়ে ওঠা অতন্ত্য জরুরী।
অলঙ্করণ-সঞ্জীব
কোন মন্তব্য নেই