দু'টি কবিতা / রবীন বসু
যুদ্ধ
থামার শ্বেতপত্র
নিজেকে
খনন করি
যে তাপ আর মৃত্তিকা উঠে আসে
তার সঙ্গে শ্রম
হাড়-পাঁজরের ভগ্নাংশ
একত্রিত যত প্রচেষ্টা আর
প্রত্যাশার সমীকরণ
সব দেখি বেলাশেষের হাওয়ায় ওড়ে
যে তাপ আর মৃত্তিকা উঠে আসে
তার সঙ্গে শ্রম
হাড়-পাঁজরের ভগ্নাংশ
একত্রিত যত প্রচেষ্টা আর
প্রত্যাশার সমীকরণ
সব দেখি বেলাশেষের হাওয়ায় ওড়ে
নিশানে
পত্পত্ জ্ঞাপিত হয় ইশারা
যুদ্ধ শুরুর রণ-হুঙ্কার
প্রতিপক্ষ মরিয়া হয়
প্রত্যাঘাত আলপথ দিয়ে ধেয়ে আসে
দূরে সন্ধিচুক্তি নিয়ে সন্ধ্যা নামে
যুদ্ধ শুরুর রণ-হুঙ্কার
প্রতিপক্ষ মরিয়া হয়
প্রত্যাঘাত আলপথ দিয়ে ধেয়ে আসে
দূরে সন্ধিচুক্তি নিয়ে সন্ধ্যা নামে
সমস্ত
খনন আর যুদ্ধ থামার শ্বেতপত্র।
বৃষ্টিচিহ্ন
ও বিদায়বেলা
বৃষ্টির
চিহ্ন দিয়ে কোনদিন ভালোবাসা মেপেও দেখিনি
নির্বিকার বৃক্ষতলে গিয়েও বসিনি
আমার যাপন ঘিরে ভয়
ত্রাস শুধু হেঁটে যায় নির্বিকল্প
বুকের গভীরে যে রক্তগোলাপ
তার কাঁটা ক্রমাগত দীর্ঘ হতে হতে
আমূল বিদ্ধ হয়
নির্বিকার বৃক্ষতলে গিয়েও বসিনি
আমার যাপন ঘিরে ভয়
ত্রাস শুধু হেঁটে যায় নির্বিকল্প
বুকের গভীরে যে রক্তগোলাপ
তার কাঁটা ক্রমাগত দীর্ঘ হতে হতে
আমূল বিদ্ধ হয়
রক্তে
জাগে প্রত্যাখ্যান শিহরিত বিদায় বেলা
অলঙ্করণ-সঞ্জীব
কোন মন্তব্য নেই