দুটি কবিতা / বিশ্বজিৎ সাহু, অনুপ কুমার বৈরাগী
সিজার
বিশ্বজিৎ সাহু
বিশ্বজিৎ সাহু
আবেশ ফুরিয়ে গেলে সকল ব্যথা
শব্দকল্পদ্রুম সেজে ফিরে ফিরে আসে।
শব্দকল্পদ্রুম সেজে ফিরে ফিরে আসে।
দু হাত ভরে বুকের পাড় ভিজিয়ে
শামুক জড়ো করে ক্ষান্ত ছিল যে মেয়েটি
ভবিতব্য নয় স্বর্গীয় আহ্লাদে সে আটখানা।
শামুক জড়ো করে ক্ষান্ত ছিল যে মেয়েটি
ভবিতব্য নয় স্বর্গীয় আহ্লাদে সে আটখানা।
ভালোবাসা তো কেবল পোহায় না, প্রসবও করে!
সূচে ছুঁয়ে দেওয়া কেন্নোর অসারতা কেটে গেলে
সহসা সে নিজেকে ফিরে পায় আধখানা জ্যান্ত শরীরে!
আর পাশে শুয়ে তার জীবন্ত প্রতিরূপ
তারই প্রাণের দোসর।
সহসা সে নিজেকে ফিরে পায় আধখানা জ্যান্ত শরীরে!
আর পাশে শুয়ে তার জীবন্ত প্রতিরূপ
তারই প্রাণের দোসর।
সকালের সূর্যমুখী
অনুপ কুমার বৈরাগী
অনুপ কুমার বৈরাগী
মন খারাপের দোসর!
আমি প্রহর গুনি
ঘুমের অছিলায়।
কচি নরম ঘাসের উপর
শিশিরভেজা পায়ে
একান্তে পায়চারি করে সদ্য প্রসূতি ভোর।
পারিজাতে মেতেছে ভৈরবী;
নবজাতক আলোয় মাথা তুললাম আমি-
সকালের সূর্যমুখী!
আমি প্রহর গুনি
ঘুমের অছিলায়।
কচি নরম ঘাসের উপর
শিশিরভেজা পায়ে
একান্তে পায়চারি করে সদ্য প্রসূতি ভোর।
পারিজাতে মেতেছে ভৈরবী;
নবজাতক আলোয় মাথা তুললাম আমি-
সকালের সূর্যমুখী!
অলঙ্করণ- সঞ্জীব
কোন মন্তব্য নেই