দুটি কবিতা / রবীন বসু
অনিবার্য পথ
বিসর্জন হয়ে গেছে। ভাসানের পর সব রঙ
নদীজলে মিশে অনন্ত প্রবাহ ধরে
গন্তব্যবিহীন চলে যায়—
প্রতিটা যাত্রায় কিছু অয়োজন থেকে যায়
কিছু চিহ্ন অবশেষঃ
হাতে শুধু লেগে থাকে সমূহ বিষাদ।
নদীজলে মিশে অনন্ত প্রবাহ ধরে
গন্তব্যবিহীন চলে যায়—
প্রতিটা যাত্রায় কিছু অয়োজন থেকে যায়
কিছু চিহ্ন অবশেষঃ
হাতে শুধু লেগে থাকে সমূহ বিষাদ।
বিষণ্ণ বিচ্ছেদ নিয়ে আমরাও তো হেঁটে যাই
প্রান্তর পার হয়ে কোন এক দিকহীন দিকে।
প্রান্তর পার হয়ে কোন এক দিকহীন দিকে।
সব রঙ মুঠোতে নিয়ে উৎসব চলে যায় দেখি
আনন্দ পাশ ফেরে, মনখারাপ দরজায়
দাঁড়িয়েছে ঠায়। তাকে ঠেলা দিয়ে প্রাত্যহিক
আনন্দ পাশ ফেরে, মনখারাপ দরজায়
দাঁড়িয়েছে ঠায়। তাকে ঠেলা দিয়ে প্রাত্যহিক
ব্যস্ত হয়ে পড়ে। জীবনের দায় আজ ঘাড়ে
নেয় বোঝা ব্যাগ—অবসর নেই, নেই
ফুরসত
তাকেও ছুটতে হবে বাঁচার এই অনিবার্য পথ….
তাকেও ছুটতে হবে বাঁচার এই অনিবার্য পথ….
দুঃখ
ডাঙায় যে মাঝি আছে, নৌকা তাকে বিদায় জানায়
জল তাকে টেনে নেয়, সে দূরত্বে ভাসমান সময়—
শিকড়ে যে টান লাগে, তার ব্যথা উপড়ে ফেলা দায়
ভূমির নিজস্ব দুঃখ ঘুরেফিরে কৃষকের মনে পড়ে যায় ।
ডাঙায় যে মাঝি আছে, নৌকা তাকে বিদায় জানায়
জল তাকে টেনে নেয়, সে দূরত্বে ভাসমান সময়—
শিকড়ে যে টান লাগে, তার ব্যথা উপড়ে ফেলা দায়
ভূমির নিজস্ব দুঃখ ঘুরেফিরে কৃষকের মনে পড়ে যায়
সে দুঃখ সাঁতার কাটে মধ্যরাতে চোরাবালি মেঘ—
কৃষকের স্বপ্নে ভাসে আদিগন্ত সবুজের ক্ষেত।
যে মাঠে ফসল ফলে,সেই মাঠ দিনদিন করায়ত্ব হয়
মুনাফা অছিলা খোঁজে, বন্ধুলোক ঘাড় নেড়ে সায় ।
কৃষকের স্বপ্নে ভাসে আদিগন্ত সবুজের ক্ষেত।
যে মাঠে ফসল ফলে,সেই মাঠ দিনদিন করায়ত্ব হয়
মুনাফা অছিলা খোঁজে, বন্ধুলোক ঘাড় নেড়ে সায়
মাঝি যদি নৌকা ছাড়ে, চাষি ছেড়ে দেয় মাঠ—
তাহলে কী পড়ে থাকল? কবি হাতে নেয় কাঠ।
কাঠেও অঙ্গার হয়, ধিকি ধিকি জ্বলে সে আগুন
আগুনের দুঃখ জেনে কার কী লাভ হয় বলুন ।
কাঠেও অঙ্গার হয়, ধিকি ধিকি জ্বলে সে আগুন
আগুনের দুঃখ জেনে কার কী লাভ হয় বলুন
তবুও দুঃখ হাঁটে পা-পা, হেঁটে যায় সীমানার কাছে
ওখানেই কাঁটাতার, পরিত্যক্ত স্বপ্ন পড়ে আছে।
ওখানেই কাঁটাতার, পরিত্যক্ত স্বপ্ন পড়ে আছে।
অলঙ্করণ- চিন্ময় মুখোপাধ্যায়
কোন মন্তব্য নেই