খেয়া ঘাটের মাঝি / বাপ্পাদিত্য মুখোপাধ্যায়
আর কয়েক পা পেরিয়ে গেলে নতুন জীবন
আর একটা হৃদয় পেলে জুড়ে যাবে ভেঙে যাওয়া মন
আমি বর্ষায় পুড়তে থাকা শানবাঁধানো শ্মশানের ঘাটে
এক দুই তিন... করে গুনে গুনে মৃত্যু লিখে রাখি
আমি তো খেয়া মাঝি। শুধু এপার হতে ওপার
তোমার এক জীবন বিশ্রাম নেওয়া শেষ...?
অবশিষ্ট কাজটুকু আমার পড়ে থাকে।
কে আর মনে রাখে ? আমি রোজ রাতে দেখি
ধোঁয়ার কুণ্ডলী বেয়ে উড়ে যায় অচিন পাখি আরেক শরীরে।
শৈশব-কৈশোর-যৌবনের বনে মধু শেষ হলে
শরীরের উঠোনে হামা দিয়ে বার্ধক্য নামে
তারপর...? আমি বাকি পথটুকু পার করে দিয়ে আসি।
যে মেয়েটি গোলাপ হাতে এসে বলেছিল, ‘ভালবাসি, তোমাকেই ভালবাসি’
একদিন নাকে তুলো গুঁজে ধূপের গন্ধ মেখে সারা শরীর ফুলে
ঢেকে
ওপারে গেছে। হয়তো উপরে গেছে।
আমি অপেক্ষায় থাকি
যেদিন শ্মশানে আঁতুড়ে মিলন হবে ?
সেদিন আবার শিস দেবে অচিন পাখি।
কোন মন্তব্য নেই