Header Ads

1 / 5
1 / 5
1 / 5
1 / 5
1 / 5

তিনটি কবিতা / সুমন্ত চ্যাটার্জী

নীল নকশা

ঘুলঘুলিতে রাখা চড়ুইয়ের চোখ পুড়তে থাকে বস্তির সসপ্যানে
জলঢালা গানের গুনগুনে সুরে
হাত বাড়ায় দুর্বল ব্যারিকেড,
রাস্তার আঁদিসাঁদি ভিজে যায়থমথমে ফুটপাতের কালশিরা অবধি
রাতের আঁধারেই সেনা নামিয়েশেষ লোমকূপের ভোগদখল
চাওয়া-পাওয়ার ঠুনকো ইচ্ছেরা
শরীর ঢাকে ছেঁড়া সেমিজ,
নিলামীতে ওঠে প্রতিবাদী লেখনী
কুশপুতুলের উপোসী প্যান্ট,
গুমনামির চাপা দেওয়াল সরিয়ে
লাশেরা যদি বলতে পারতো
তবে বলে যেত হয়তো
কিভাবে আঁকা হয় নীল নকশা …


বিদ্রোহের আঁচে

রাত জেগে পাতার পর পাতা
অশ্লীল কবিতা
উগরে চলে কামনার আকর
বাইরে গোলাগুলি-লাঠিচার্জ-উড়ছে পতাকা
কুশপুতুলের পুড়ন্ত হাত থেকে পামর
খসে পড়ে বাতাসে পাক খেয়ে
চোখেমুখে বিভীষিকা-জীবনের বিভীষিকা
মৃতের গন্ধ আসে নর্দমা বেয়ে …
বর্বরতা পেরিয়ে নজর ঝাপসা হয়ে আসে
ফ্যাকাসে লাশের ছবি কোথায় যেন ভাসে
ঝাঁঝালো মদের গ্লাসে
বুঝতে চাই … একমনে ছবি এঁকে
বুঝতে চাই, শব্দের ছবি
তোমার প্রতিবন্ধী ঈশ্বর বাঁচাতে পারেনি
যৌনাঙ্গে বেয়োনেটের ফলার আঘাত,
নরক তোমার বিশ্বাসের ধার ধারেনি
ছিঁড়ে নিয়েছে শরীর থেকে নরম রাত
নেকড়ে-হায়েনাদের মত!



বনশুয়োর

সবুজ ঝোপের ওপর বর্শার খোঁচা
পড়তেই বেরিয়ে আসে চকিত গতিতে!

হন্তদন্ত ছুটে যায়
বাঁ-দিকের চোরাপথে,
শক্ত বেড়ায় বাধা পেয়ে
অন্যদিকে ধেয়ে যায় গোঙানি!

সামনে আরো কিছু বর্শার তীক্ষ্ন
বুঝতে পেরে ছটফটানি বাড়তে থাকে!

খেদা খাওয়া নিঃশ্বাস
আবার কি ঝোপে?

না, বরং বুনো আগাছা মাড়িয়ে
ডানদিকের উঁচু বেড়ায়
আছড়ে পড়ে প্রাণপন ঊর্ধ্বশ্বাসে!

বাকি থাকে একটাই পথ …

ঘোঁৎ ঘোঁৎ চীৎকারের তীব্র ছুট
সব ভুলে সেদিকে …!
ধাতব কিছুতে পা লেগে
হামলে পড়া পাথরের ফলার
সাথে কাতর আলিঙ্গন

আদিম হাসি ছুটিয়ে যায় …

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.