“কবি” হবার সাধ নেই আমার / বর্ণীল মনীষা
আমি শুধু লিখতে চাই-
সে সব কথা,
যা কখনো বলা হয়নি কাউকে একান্তে ডেকে।
আমার বলা হয়নি সেই নারীর কথা;
যে কিনা মৃতপ্রায় শিশুটির জীবন রক্ষার্থে
হস্তান্তর করেছিলো তার সম্ভ্রম কিছু লালায়িত চরিত্রের কাছে।
শেষ রক্ষা হয় নি !
সন্তান সম্ভ্রম দুই হারিয়ে আজ সে উন্মাদ।
আমার বলা হয়নি সেই পিতার কথা;
যে কিনা ছেলের মুখে একটুকরো মাছ তুলে দিতে
পাড়ি জমিয়েছিল পদ্মা দিয়ে ঢাকার বুকে।
আশা পূর্ণ হয় নি !
পাটের কলে কাটা পড়েছে হাত তার শেষ দিনে।
আমার বলা হয়নি সেই মেধাবী যুবকের কথা;
যে কিনা পিতার চিকিৎসার খরচ যোগাতে
বিকিয়ে দিয়েছে নিজ মেধা বিদেশি শক্তির কাছে।
ফল লাভ হয় নি !
পিতা আর মেধা দুই হারিয়ে আজ সে শুধুই কৃতদাস।
সে সব কথা,
যা কখনো বলা হয়নি কাউকে একান্তে ডেকে।
আমার বলা হয়নি সেই নারীর কথা;
যে কিনা মৃতপ্রায় শিশুটির জীবন রক্ষার্থে
হস্তান্তর করেছিলো তার সম্ভ্রম কিছু লালায়িত চরিত্রের কাছে।
শেষ রক্ষা হয় নি !
সন্তান সম্ভ্রম দুই হারিয়ে আজ সে উন্মাদ।
আমার বলা হয়নি সেই পিতার কথা;
যে কিনা ছেলের মুখে একটুকরো মাছ তুলে দিতে
পাড়ি জমিয়েছিল পদ্মা দিয়ে ঢাকার বুকে।
আশা পূর্ণ হয় নি !
পাটের কলে কাটা পড়েছে হাত তার শেষ দিনে।
আমার বলা হয়নি সেই মেধাবী যুবকের কথা;
যে কিনা পিতার চিকিৎসার খরচ যোগাতে
বিকিয়ে দিয়েছে নিজ মেধা বিদেশি শক্তির কাছে।
ফল লাভ হয় নি !
পিতা আর মেধা দুই হারিয়ে আজ সে শুধুই কৃতদাস।
আমার বলা হয়নি সে কিশোরীর কথা;
যে কিনা বুক ভরে ভালবাসতে গিয়ে
ছেড়ে দিলো পিতা-মাতার ঘর আঁধার রাতে অন্যের হাত ধরে।
প্রেম তার হয় নি !
তাকে সে পেতে গিয়ে হয়েছে নিষিদ্ধ গলির ফুলরাণী!
এমন অনেক হাজারো প্রাণের কথা আমি লিখতে চাই অকাতরে,
আমার থেমে থাকা কলমের বুকে আঘাত দিয়ে
ঠিকরে বের করতে চাই তার কালো রক্ত।
আমার নুইয়ে থাকা মনকে জাগিয়ে বলতে চাই,
“তোমার শব্দগুলো উগলে দাও পাতাঝরা বৃক্ষের মতো-
সেই হারিয়ে যাওয়া প্রাণগুলোর প্রতিনিধি হয়ে।”
দু’ একখানা লাইনে আবেগি কথা লিখলে
লোকে বাহবা দেবে !
“কবি” হবার সাধ নেই আমার।
কোন মন্তব্য নেই