দুটি কবিতা/ রবীন বসু
কী
করে স্পর্শ করি তাকে? কী করে হাতে হাত
রাখি বল? এই যোজন বিস্তৃত দূরত্ব
এই অন্ধকার আলোহীন সমুদ্র-প্রান্তর
তাকে কী করে অতিক্রম করি?
সমস্ত অনায়ত্ত আয়ত্তে এনে অকালবর্ষণে ভিজি?
রাখি বল? এই যোজন বিস্তৃত দূরত্ব
এই অন্ধকার আলোহীন সমুদ্র-প্রান্তর
তাকে কী করে অতিক্রম করি?
সমস্ত অনায়ত্ত আয়ত্তে এনে অকালবর্ষণে ভিজি?
ভেজা তো আমরণ ক্ষুধা, আশৈশব হাতের ফড়িং
ফরফর বর্ণমালা, আমার মায়ের সংসার গোছানো।
অনন্ত আলপথে স্মৃতির গুঁড়ো, কিছু চিহ্ন অবশিষ্ট
বুকপকেটে কবিতা রেখে তাকে তবু ছুঁতেও পারি না।
স্বপ্নে
সমুদ্র
সমুদ্র
লাফ দিয়ে ঘরে ঢুকে এল
অগাধ জলরাশি আর ভাসমান ফেনা
মাস্তুলভাঙা কোন জাহাজ
সুদূরের ঘাট ছুঁয়ে চলে এল আমার শোবার ঘরে।
অগাধ জলরাশি আর ভাসমান ফেনা
মাস্তুলভাঙা কোন জাহাজ
সুদূরের ঘাট ছুঁয়ে চলে এল আমার শোবার ঘরে।
ধবধবে
সাদা পাল
সমুদ্রের নীল, প্রবাল প্রাচীর, শঙ্খ সাদা
ফেনিল আবর্তে দেখি আমাদের ভাঙা সংসার।
সমুদ্রের নীল, প্রবাল প্রাচীর, শঙ্খ সাদা
ফেনিল আবর্তে দেখি আমাদের ভাঙা সংসার।
পরদিন
সকালে নিয়মমাফিক ঘুম ভেঙে গেলে
খটখটে বিছানায় শুয়ে আমি কোন সমুদ্রকে
বিতরাগে নীল হয়ে হেঁটে যেতে দেখিনি তখনও...
খটখটে বিছানায় শুয়ে আমি কোন সমুদ্রকে
বিতরাগে নীল হয়ে হেঁটে যেতে দেখিনি তখনও...
অলঙ্করণ-সঞ্জীব
কোন মন্তব্য নেই